কোকড়া চুলওয়ালী আমাকে বকা দিসে

০৫ ই ডিসেম্বর,
সকাল সন্ধ্যা গাধার খাটুনির পরে বাসায় এসে পিসিতে বসে সময় কাটানো এর পরে ঘুম সকালে উঠে আবার ঘড়ির কাটা ধরে সেই ছুটে চলা, জীবনকে যান্ত্রিক করে তুলেছিল ... এ কারনেই সেদিন আমরা এক হয়েছিলাম কয়েকজন বড় ভাই, বন্ধু বান্ধব ... এর মাঝে বেশ কয়েকজন বিবাহিত, কিছু ছিলেন হাফ ব্যাচেলর (নিজ নিজ দোকলা সহ) এবং আমার মতো কিছু কপাড় পোড়া ব্যাচেলর (যাদের দোকলাও নাই, বউ ও নাই)

সেদিন বিকেলে এক বড় ভাই এর বাসায় আড্ডাটা জমেছিল মুলত সময়ের কাটা ধরে চলার নিয়মকে ভেঙ্গে একটু আনন্দ করা, খাওয়া দাওয়া করার জন্য। সময়মত সবাই উপস্হিত হতেই এক এক করে দেখি দল আলাদা হওয়া শুরু হলো .... বাচ্চারা সব নিজেদের জন্য আলাদা যায়গা বানিয়ে খেলা শুরু করলো ... ভাবীরা রান্নাঘরে তাদের আসর জমালেন .... আর আমরা এদিকে ড্রইংরুমে .... আমাদের মাঝে কয়েকজন ছিলেন যারা নিউজ-ভক্ষক ... আনন্দ করতে এসেও কোন চ্যানেলে কোন নিউজ দিচ্ছে তা না দেখলে মনে হয় দুনিয়া উল্টে যাবে



এসব আজাইরা কান্ড দেখে আমাদের কয়েকজনের লেগে গেল চরম ক্ষুধা







আমি কেবল ডেজার্টের একটা বাটি হাতে নিয়েছি ... ততক্ষনে বাচ্চারাও খাওয়ার জন্য এসে পড়েছে ... তখন দেখি এক দেড় ফুটি - কোকড়া লম্বা চুল ওয়ালী, তার বড় বড় চোখ দিয়ে আমার দিকে অগ্নি বর্ষন করছে

ও বললো -- খেতে চলো ...

আমি বললাম - খেয়েছি তো ...

এবার তার চোখের দৃষ্টিতে আমি মনে হলো যেন মূহুর্তেই ভষ্ম হয়ে যাব ...

বললো -- কি ? ...

আমি বললাম -- না মানে , আমি ...

সে আরেকবার বললো -- তুমি এখন আমার সাথে খাবা ....

মূহুর্তের মধ্যে অনন্ত দিগন্তের হাতের বাটি সামনে টি টেবিলে পৌছে গেল এবং সুবোধ বালকের মতো কোকড়ানো চুলওয়ালীর প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে থাকলো ... কারন ... পৃথিবীতে সে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা মানুষের জন্য সবকিছু করতে পারে ... এবং তার মধ্যে কোকড়াচুলওয়ালী একজন।

No comments:
Post a Comment