অন্ধকারের কান্না
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪২
অন্ধকারের মানুষ আমি... নিকষ কালো অন্ধকারে বসবাস আমার ... অন্ধকারে থাকার কারনেই বুঝি আমার চোখ দুটির কার্যক্ষমতাও ক্রমশ লোপ পেতে বসেছে, সেই সাথে মনের চোখেও পড়েছে অমোচনীয় কালীমা ... পর্দার এপাশে থাকি বলে ওপাশের জগৎটাকে অন্য রকম মনে হয় ... কখনো মনে হয় ঐখানেই বুঝি সব সুখ থাকে, কখনো মনে হয় এপাশে একলা থাকার আনন্দটাই অন্যরকম... দুঃসহ অন্ধকারকে কখনো বড় অচেনা মনে হয় কিন্তু পরক্ষনেই ওপাশের উজ্বল আলোর ভয়ে গুটিয়ে ফেলি নিজেকে ... একলা থাকায় একাকিত্বের সাথে এক নিবিড় বন্ধনে জড়িয়ে গিয়েছি, এর মাঝে কেউ কাছে আসতে চাইলে তার সাথে ওপাশের আলোকিত পৃথিবীতে না গিয়ে তাকেই অন্ধকারের অতল গহ্বরে টানতে চাই... পাছে ভয় হয়, উজ্বল আলোতে আমার কুৎসিত হাতে যদি সে হাত না রাখে ... যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এই কদর্য চেহারা থেকে ... বিভৎসতায় যদি ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় দীগন্তের ওপারে ... কিন্তু কোথাও একটা চিনচিনে ব্যাথা অনুভুত হয় ... হয়তো অন্ধকারের মানুষ হলেও আমার একটি পোড়া হৃদয় আছে ... তাই কখনো কখনো ওপাশের আলোকিত জগৎটাকে দেখার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়... আলোকিত কাউকে ছুয়ে দেখতে মন চায় ... আর অন্ধকারের পর্দা ছিড়ে আলোর মাঝে দাড়িয়ে চিৎকার করে কান্না করতে মন চায় ... কিন্তু অন্ধকার মানুষের সব ইচ্ছাও যে অন্ধকারেই লুকিয়ে থাকে ... তাই সূর্য কীরণে আসার প্রচেষ্টায় দমবন্ধের উপক্রম হতেই সে অনির্বান ইচ্ছাকে নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করা ছাড়া আর যেন কোন উপায় থাকে না ... শৃংখলিত অন্ধকার মানুষ তাই অমাবশ্যার অন্ধকারে বসে বুকের চাপা ব্যাথা প্রশমিত করার প্রয়াসে গগনবিদারী কান্নায় ফেটে পড়লে, পাথরচোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে দু ফোটা কালো রক্ত বিন্দু ...
No comments:
Post a Comment