Wednesday, July 29, 2009

ভাগ্নীর জন্মদিনে দু পা চলতেই ধপাস !!

ভাগ্নীর জন্মদিনে

দু পা চলতেই ধপাস !!

২৮ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩





আজকের টক অফ দ্যা টাউন - বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতা ... কত সুখ আর দুঃখের কথকতা সবাই বলে যাচ্ছে অনর্গল ... ঢাকায় থাকতে এমন অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে সে সময়ের স্মৃতিচারনের মাঝেই হঠাৎ মনে পড়ে গেল আরেক ধরনের অভিজ্ঞতার কথা ...

সেদিন ছিল আমার বড় ভাগ্নির জন্মদিন,সবাই মিলে আমরা তখন গিয়েছি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে ... তার কয়েকজন মামা আর খালামনি মিলে তার জন্মদিন পালন করবে ঠিক করেছে, অনেক দুর থেকে একটা কেক আনা হলো, আপুনিকে দিয়ে বিরানী, মাংস আর চিকেন ফ্রাই বানিয়ে, সবাই মিলে একটা ঘরকে সাজানো হলো ... বিকাল হতেই আকাশ পাতাল এক করে ঝুমঝুম বৃষ্টি শুরু ... আমরা সবাই একসাথে গোল হয়ে মুড়ি মাখা খাচ্ছি আর ঢাকায় এমন সময় কে কি করি তার গল্প করছি ... আমার কাজিন একজন বলে উঠলো - আমার সিঙ্গাড়া খেতে মন চাইছে , ঢাকায় থাকলে এমন বৃষ্টিতে গরম গরম সিঙ্গাড়া না খেলে আমার হয় না ... এই না শুনে ভাগ্নী তার একমাত্র মামাকে ধরেছে -- অন্তু মামা আমি সিঙ্গাড়া খাব, নিয়ে আস ... আমার আর কিছু চাই না আজকে ...

গ্রামের রাস্তা সব কাঁদায় একাকার, তার উপরে কারেন্ট নাই ... একটা হোটেল আছে, অনেক দুরে ... ওরা এখনো খোলা আছে কি না ঠিক নাই ... তার উপরে আমাদের কাঁদায় হাটার অভ্যাস নাই ... কিছুক্ষন আমতা আমতা করেও যখন ভাগ্নীর হাত থেকে রেহাই পেলাম না, তখন বাধ্য হলে আরেক কাজিনকে নিয়ে অন্ধকার রাস্তায় ছাতা মাথায় দিয়ে চললাম সিঙ্গাড়া শিকারে ... ঘর থেকে বের হচ্ছি এমন সময় নানাভাই বললেন -- কিরে , এই সময়ে জুতা পরে কৈ যাস, বাইরে যে কাদা তাতে পায়ের আঙ্গুল চেপে চেপে হাটতে হবে, খালি পায়ে যা !!

নানাভাই এর কথা মেনেই সেভাবে ঘর থেকে বের হতেই ছোট মামা বললেন, পাশের ঘাটে নৌকা আছে ওতে করে আমি ঐদিকেই যাচ্ছি, চলো তোমাদের নামিয়ে দেই ... মামার সাথে গিয়ে দেখি মামার আরো কয়েকজন বন্ধু একসাথে কৈ যানি যাচ্ছে, আমরা দু ভাইও ওদের সাথে হোটেলটার কাছাকাছি একটা ঘাট পর্যন্ত গেলাম, এর পরে ছোট মামা আমাদেরকে নিয়ে হোটেলে বসিয়ে মালিক কে বললেন গরম গরম সিঙ্গাড়া ভেজে দিতে ... আর আমাদের বললান -- বাসায় যেতে পারবা তো হেটে ? ... ঘাড় ঝাকিয়ে বুক ফুলিয়ে দুজনেই জবাব দিলাম -- পারব !!!

কিছুক্ষন পরে সিঙ্গাড়া ভাজা হয়ে গেলে দুজনে রওনা হলাম নানাবাড়ির দিকে ... সমস্যা হলো আমরা দুজনের কেউই কাদায় হাটতে অভ্যস্ত ছিলাম না, বেশী কাদার জায়গা গুলোতে হাটতে পারলেও অল্প কাদায় জায়গাগুলোতে পা রাখামাত্রই আরেক দিকে সরে যাচ্ছিলো ... সাথে টর্চ এনেছিলাম, কিন্তু একহাতে সিঙ্গাড়া আরেক হাতে ছাতা থাকার কারনে সেটা জ্বালানোর সুযোগ পাচ্ছিলাম না কেউ ... খুবই ধীরে ধীরে পা টিপে টিপে আগাচ্ছি দুজন ... মাঝে মাঝে এমন অন্ধকার হয়ে আসে , যে পাশের কাজিন কে ও দেখতে পাচ্ছিলাম না ...আবার কথা বললে পিছলে যেতে পারি এ ভয়ে কেউ কথাই বলছিলাম না,
একসময় হঠাৎ কাজিন চিল্লায়ে উঠলো -- অনন্ত, রাস্তা কোন দিকে ? ...
আমি বলি -- ক্যান, এই রাস্তা তো সোজা নানা বাড়ি গেছে ...
কাজিন বলে -- আমার সামনে তো খালি পানি ... রাস্তা খুজে পাই না ...

বৃষ্টির মাঝেই ছাতা বন্ধ করে টর্চ জ্বালিয়ে দেখি , সাবধানে পথ চলতে চলতে কাজিন আমার রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নেমে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের কিনারায় দাড়িয়ে আছে ... হো হো করে হাসতে হাসতে ওরে বললাম --রাস্তা এই দিকে, উঠে আসো এবার ... কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও টর্চের আলোয় ঢাল বেয়ে উপরে সে আর উঠতে পারে না ... অগত্যা আমি একটু নীচে গিয়ে ওকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে এক হ্যাচকা টানে উপরে তুলে আনলাম ... এর পরে দুজনেই ছাতা বন্ধ করে সে হাতে টর্চ জ্বালিয়ে নানা বাড়ির দিকে রওনা হলাম, আগে তো রাস্তা দেখতে পাচ্ছিলাম না, এখন পরিষ্কার দেখতে পেয়ে জায়গা বুঝে পা রেখে সামনে আগানোর চেষ্টা করতেই --- একসাথে দুজনে ধপাস !!!

কোন রকমে সামলে নিয়ে আবার উঠে আরেকটু দুর যেতেই কাজিন বলে -- সাবধানে চলটে হবে, নাইলে কিন্তু .... কথাটা শুনতে শুনতেই আমি আবার ধপাস !! ... আমাকে পড়তে দেখে কাজিনও আবার ধপাস !!!!

এভাবে চলতে চলতে ২০ মিনিটের পথ ঘন্টা তিনেক পার করে যখন নানা বাড়ি পৌঁচেছি, এক নজর দেখে নানা বাড়ির সবাই হাসতে হাসতে কুটি পুটি ... সবচেয়ে বেশী হাসছে দেখি আমার পিচ্চি ভাগ্নীটা ... সেই সাথে একের পর এক ভঙ্গীমায় শুকনা মেঝেতে ধপাস করছে আর বলছে -- মামা, তোমরা এইভাবে পড়েছিলা ? :| :| :|

অরুনালোয় উদ্ভাসিত শব্দগুচ্ছ

অরুনালোয় উদ্ভাসিত শব্দগুচ্ছ

২৭ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮





জীবনের গতি প্রকৃতিতে সময়ের আবর্তনে বিভিন্নতা লক্ষ্যনীয় ... হয়ত তা সময়ের প্রয়োজনেই অথবা বন্ধুরতার প্রেক্ষিতে ... জীবন ঘড়ির অবিরাম গতিময়তা একদিকে যেমন শুনায় পূর্নতার বানী তেমনি অন্যদিকে নীরবে বেজে চলে বিদায়ের সুর ... অতি আকাংখিত প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত ঘরে আনন্দের বন্যা বইলেও এর মাঝেই লুকিয়ে থাকে অবশ্যম্ভাবী নিকষ কালো অন্ধকারের ছায়া ... চাদের স্নিগ্ধতা শুধু রাতেই বিদ্যমান, তাকে দিনের আলোয় খুজতে যাওয়া বোকামীর নামান্তর ... খরস্রোতা নদীতে থাকে চর জেগে অস্তিত্ব বিলীনের ভয় অথবা পাড় ভেঙ্গে রাক্ষুসে নদীতে পরিণত হওয়ার আশংকা ...



ধরাভুমিতে এ রঙ্গমন্চের জুয়া খেলায় সূর্যকে বড় আপন মনে হয়, নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যকে আলো প্রদানের মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজের অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটাচ্ছে, তেমনি নিজের পরিনতির কথা জেনেও নিঃস্বার্থভাবে নিজের সামর্থ্যের শেষ বিন্দুটুকুও উৎস্বর্গ করছে সকলের তরে ...নিকষ কালো আধার রাত যেখানে তার প্রবেশাধিকার নেই, সেখানেও চাঁদ কে তার আলো দিয়ে মুগ্ধতায় ভরিয়ে দিয়েছে এ জগৎ সংসার ... তাইত অস্তগামী সূর্যের মতই আজ বলতে ইচ্ছে করে -- সূর্য আমি ঐ দিগন্তে হারাব, অস্তমিত হব তবু ধরনীর বুকে চিহ্ন রেখে যাব !!!


ছবি © অনন্ত দিগন্ত

কপিক্যাটের ইচ্ছে প্রকাশ

কপিক্যাটের ইচ্ছে প্রকাশ

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭





পাশের বাড়ির কামাল সাহেবের বৌ নতুন জামদানী শাড়ি কিনেছে, সে খবর পেয়ে মতিন সাহেবের স্ত্রী শুরু করে দিলেন তুলকালাম কান্ড ... তার ঐ রকম জামদানী শাড়ী চাই ই চাই ... তা না পাওয়া পর্যন্ত ঘরের চুলা জ্বলবে না, বাসন কোশন পরিষ্কার হবে না, ঘর বাড়ি পরিষ্কার হবে না ... অগত্যা মতিন সাহেবের মাইনে পাওয়ার আগেই ধার করে গিন্নীকে জামদানীতে মুড়িয়ে ঘরের চুলা জ্বালানোর ব্যাবস্হা করলেন ....

এদিক দিয়ে কামাল সাহেব একটু অন্যরকম ... ভিন্ন ভাবে অবস্হার প্রেক্ষিতে ব্যাবস্হা নিতে তার জুড়ি নেই ... মতিন সাহেবের বৌ তাকে কপি করে, তার মতই নতুন জামদানী কিনেছেন দেখে কামাল সাহেবের বউ তো একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলছেন ... তার কথা হলো -- মতিন সাহেবের বাসায় ল্যান্ডলাইন আছে আমাদের নেই ক্যানো, এক সপ্তাহের মধ্যে তার ঘরে টেলিফোন চাই ... মতিন সাহেব বললেন -- প্রতিদিন ভরে দেয়া সেলফোনের ক্রেডিট সেদিন ই শেষ হয়ে যায় বলেই কি ল্যান্ড লাইন দরকার ? ... উত্তরে তার স্ত্রী আর রাগ সামলাতে না পেরে বললেন -- না, তুমি অফিসে গেলে ল্যান্ড লাইনে ফোন করে খোজ নিব পৌছে গিয়েছ কি না ... মতিন সাহেব হাস্যমুখে উত্তর দিলেন -- তুমি এই মুহুর্তে যেভাবে চিল্লায়ে বলছ , সেভাবে জিজ্ঞেস করলে তো আমি অফিসে বসে এমনিতেই শুনতে পাব, এর পরে আর ল্যান্ড ফোনের কি দরকার ? ... সে কথার আসল মর্মার্থ বুঝতে পেরে সে মুহুর্তে লজ্জায় চুপ হয়ে যাওয়া কামাল সাহেবের স্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘরে ল্যান্ডলাইনের কানেকশন পেয়েছিলেন ....

কামাল এবং মতিন সাহেবের এই সমস্যা বেশ পুরাতন, ঠিক কখন থেকে এটা শুরু হয়েছে তা ইতিহাসবিদগন বলতে না পারলেও মোটামুটি ধরা যায় দুজনের প্রেমের ভরা জোয়ারের সময় থেকেই এ সমস্যা চলে আসছে ... সে সময়ের একটি ঘটনা এরকম --

মেধার দিক থেকে অন্তরা আর কামালের মাঝে খুব মিল ছিল, ফলাফলটা প্রায় কাছাকাছি আসতো ওদের... পড়াশুনায় তাই ওদের মাঝে চলতো চরম প্রতিযোগীতা ... তার পরেও কোন কারনে কখনো যদি অন্তরা কোন নোট তৈরি করতে না পারত তবে কামাল তার নিজের নোট তাকে দিয়ে দিত, এর পরে দুজনে সেই নোটকে নতুন ভাবে নিজেদের মনমতো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে বানিয়ে নিত ... এ দেখে সীমার ও মনে চাইত মতিন তার জন্য এমন কিছু করুক, তবে মতিনের মাঝে একটু ফাকিবাজি স্বভাব থাকার কারনে অনেক সময় ইনডাইরেক্ট ভাবে এমন কিছু চেয়েও সে কখনো পায়নি ... একদিন কামালকে তার অনেক কষ্টে বানানো নোট হাসিমুখে অন্তরাকে সবার সামনেই দিয়ে দিতে দেখে সীমার ও একটু ইচ্ছে হলো এবার মতিনের কাছ থেকে সে একটা নোট নিয়েই ছাড়বে ...

ইচ্ছে প্রকাশের দুদিনের মধ্যে গোলাপ ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করা নোটটি হাতে পেয়ে যেন সীমার খুশীর সীমা পার হয়ে গেল ... এর পরে যখন জানতে পারলো মতিন নিজে দুদিন একটানা, রাত - দিন এক করে এই নোট তৈরী করেছে তখন যেন সীমার আনন্দে কেদে ফেলতে ইচ্ছে করছিল ... তবে পরবর্তি ধাক্কাটা আসতে খুব একটা দেরী হয়নি, যখন ক্লাসের আঁতেল বলে খ্যাত কুদ্দুস হঠাৎ একদিন এসে সীমাকে বললো -- সীমা , তুমি আমি আর মতিন ছাড়া ঐ নোট যেন আর কারো কাছে না যায় তাহলে মাহবুব স্যার আমাকে আর কোন নোট লিখে দিবে না বলেছে, জানোই তো মাহবুব স্যার কেমন রাগী মানুষ, ঠিকাছে ?

এমন ই ঘটনা ঘটেছে আমার সাথেও ... সেদিন কাজে গিয়ে দেখলাম আমার এক কো-ওয়ার্কার ক্লায়েন্টের কাছে একটা নোট পাঠিয়েছে, কিন্তু তাতে কিছু সমস্যা থাকায় বস আমাকে সেটা দেখে ভুলগুলো বের করতে বলেছেন ... কো-ওয়ার্কার কিছু কিছু কারনে আমাকে দু চোখে সহ্য করতে পারে না, সবার কাছে বলে বেড়ায় আমার কাজের স্টাইল নাকি তার একেবারেই পছন্দ না, এক কথায় জঘন্য বললেও নাকি কম বলা হবে ... তাই তার পাঠানো নোট নিয়ে কাজ করতে একেবারেই ইচ্ছে করছিলো না ... অনিচ্ছা স্বত্বেও নোটটি খুলে দেখতেই আমি পুরা টাশকি খাইলাম ... আমার গত বছরে তৈরী করা একটা নোটের পুরা কপি করে দিয়েছে সে , আর এর মধ্যে যেখানে যেখানে নিজে এ্যাড করারা চেষ্টা করেছে সেখানেই সমস্যা হয়েছে ... এর পরে খুটিয়ে খুটিয়ে ক্লায়েন্টের সবগুলো চাহিদা জেনে, নোটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নোট টা ঠিক করতে পাঠিয়ে দিলাম কো-ওয়ার্কারের টেবিলে ... সেই সাথে কি মনে করে জলদি জলদি গুগল মামার দোকান থেকে এই ছবিটা বের করে ফাইলের মধ্যে ঢুকিয়ে ওকে পাঠিয়ে দিলাম ....







বড় বিলাই আপির বিবাহবার্ষিকী

বড় বিলাই আপির বিবাহবার্ষিকী

২২ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩






গাছের ছায়ায় বুনোফুলের মালা পরে বড় বিলাই বসিয়া বসিয়া ভাবিতেছে ... বড়ই অদ্ভুত এই ফুলের ছোট্ট মালাটি ... যেন অদৃশ্য কোন শক্তির আধার এই ছোট্ট জিনিসটা, যার বদৌলতে আজ সে টারজানের কাছে বন্দী ... দৃশ্যত চলমান এবং স্বাধীন দেখালেও এই একটুকরো জিনিসের কল্যানে আজ সে অন্যরকম ভালবাসার অটুট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে ...

টারজান আর তার বড়ই পছন্দের খেলা ছিল জংলী লতায় বানানো ফাঁস দিয়ে খরগোশ ধরা ... গাছের লতা-পাতা দিয়ে টারজান অনেক সুন্দর করে সে সব বানিয়ে ফেলে রেখে দিত জায়গামত... চটুল চপল খরগোসের দলের কেউ এর পাশে আসলেই মুহুর্তের ভিতর ধরা পড়ে যেত ... শুরুতে টারজানের এই করিৎকর্মা কাজ দেখেই বড় বিলাই তার কাছে গিয়ে আসকাইয়াছিলো -- ওহে মানব সন্তান, ইহা কি বানাইয়াছ তুমি, বড়ই মচৎকার ভাবে খরগোস ক্যাচৎকার করিতেছ দেখিতেছি ... আমাকে ও কি একটু শিখিয়ে দিবে, কিভাবে ওটা বানিয়ে খরগোশ শিকার করতে হয় ?

প্রথম দেখাতেই বড় বিলাই এর রুপে মুগ্ধ টারজান প্রথম দিনেই তাকে বুনো লতার ফাঁস বানানো শিখিয়েছিল, তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে সেদিন আর ওটার প্রয়োগ সম্ভব হয়নি ... তার বাধ্য হয়ে বড় বিলাই পরের দিন আবার গেল টারজানের কাছে খরগোশ শিকার করা শিখতে , ওদিকে দ্বিতীয় দিনে বড় বিলাইকে আসিতে দেখিয়া আবারো টারজানের মন আকু পাকু করিতে লাগিলো ... অনেক চিন্তা করিয়াও বুঝিতে পারিতেছিল না ইহা কি হইতেছে তাহার সাথে ... তাইতো সেদিন তার বানানো ফাঁসের ভিতর নিজের গলা ঢুকিয়ে যখন দেখাতে গিয়েছিল কিভাবে খরগোস এর ভিতরে বাধা পড়ে, তখন সে ফাস তার গলায় আটকে গেলে বড় বিলাই তাকে সে যাত্রায় উদ্ধার করে ... তাহার এহেন উপকারে কৃতজ্ঞ টারজান নিজেও বুঝিতে পারে নাই বড় বিলাই তাহাকে ঐ লতা পাতার ফাঁস থেকে উদ্ধার করেছে ঠিকই তবে বাধিয়া ফেলিয়াছে অন্য এক মায়ার বাধনে ... ওদিকে তাকে শিকার শিখানোর প্রয়াসে নিজের জীবনকে বিপদে ফেলিবার মত পরোপকারী মনোভাবের কারনে বড় বিলাই ও যে কোন সময় টারজানের মায়ার জালে বাধা পড়েছে, সে নিজেও জানে না ... অতঃপর দিনের পর দিন চলিতে লাগিলো তাহাদের যুগপৎ শিকার অভিযান ...

একদিন হঠাৎ টারজান লতাপাতার বদলে বুনোফুলের ছোট্ট ফাঁস বানিয়ে আনিয়াছিল ... বড় বিলাই তাহা দেখিয়ে যারপরনাই উৎসাহের সহিত উহাকে দেখিতে চাহিলে টারজান বলিয়াছিল, ইহা তোমাকে পরানোর জন্যই বানাইয়াছি, মূহুর্তের মধ্যে চমকে উঠে বড় বিলাই দু-কদম পিছে চলিয়া গিয়াছিল ... মনে মনে ভাবিতেছিল, টারজানের মাথা খারাপ হইয়া যায় নাই তো ? ... এতদিন জংলীলতার ফাঁস দিয়া খরগোশ শিকার করিতে করিতে আজ সে বুনোফুলের ফাঁস দিয়া আমাকে শিকার করিবে ... ইহা কি করিয়া সম্ভব ? কিন্চিৎ অনুনয় বিনয় করিয়া সেদিনের মত নিষ্কৃতি পাওয়ার চেষ্টা করিলেও টারজানের মায়াভরা চোখের দৃষ্টি যেন কিউপিডের তীর হইয়া তাহার বুকে বিধিলো ... অদ্ভুত এক ভাললাগার আচ্ছন বড় বিলাই সেদিন নিজের জীবনের পরোয়া না করিয়া টারজানের হাতে নিজের গলায় সেই বুনোফুলের ফাঁস পরিয়া নিয়েছিল, অতঃপর টারজান তাহাকে বুঝাইতে লাগিলো, ইহা কোন সাধারন ফাঁস নয়, ইহাকে লোকসমাজে বলা হয় মালা ... এর পরে টারজানের কাছ থেকে এই মালার মাহাত্য বুঝিতে বুঝিতে কখন যে হলদে বর্নের বড় বিলাই লজ্জার আবীরে নিজেকে রাঙ্গীয়ে গোলাপী রং ধারন করিয়াছিল তাহা আজও অজানাই রয়ে গিয়েছে ....


ঝিরিঝিরি বাতাস যেন একটু কাপিয়ে দিয়ে বড় বিলাই কে টারজানের আগমনের সুসংবাদ দিয়ে গেল .... সেই সাথে সে লক্ষ্য করলো, পাঁচ বছর আগের ঘটনাগুলো চিন্তা করতে করতে আজও সে ঐরকম গোলাপী রং ধারনে করিয়াছে .... একটু পরেই সে শুনিতে পাইলো টারজানের সেই মন হরনকারী ডাক ---- আআআআআআ....

কথোপকথন :মন শুধু মন ছুয়েছে

কথোপকথন :মন শুধু মন ছুয়েছে

২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২৩



>> হ্যালো
>হাই

>> কেমন আছিস ?
> এইতো, তুই কেমন আছিস ?

>> তুই যেমন রেখেছিস ...
> আমি আবার তোকে কেমন রাখব ?

>> সে জানি না, যেমন রেখেছিস, তেমনটাই আছি
> আমি কি তোর বেবী সিটার নাকি যে, যেমন রাখব তেমনটা থাকবি ?

>> হয়ত, হয়ত না ...
> এমন হেয়ালী করছিস ক্যান ?

>> ওটা করতে যে আমার ভালো লাগে...
> তাই বলে সবসময় ?

>> তোর সাথে করবো না তো কি মাঠের লোকের সাথে করবো নাকি ?
> তা তো বলিনি

>> তাহলে, কি বলতে চাচ্ছিস ?
> জানতে চাচ্ছি এই মুহুর্তে কেমন আছিস ...

>> তা জেনে কি হবে ?
> না জানানো টা খুব একটা ভাল কিছু হবে ?

>> আমি কিন্তু এমন কিছু বলিনি
> তাহলে বলতে দোষ কোথায়, তুই কেমন আছিস ?

>> দোষ নেই , শুধু আমি বলতে পারব না আমি কেমন আছি ...
> কিন্তু ক্যানো ?

>> কারন ওটা তোর কাজ, আমার না
> মানে ?

>> আমার মনটা কোথায় ?
> এইযে এইখানে ... আমার কাছে

>> তাহলে সেটা কেমন আছে জানিস না কেন ?
> ওরে ওরে ওরে ... বলে কি বান্দরনী ... ওটা সহী সালামত আছে, চিন্তায়ো না ...

>> তাইলে তুমি ওটার খবর আমার কাছে কেন জানতে চাইলে ?
> আচ্ছা বাবা, ভুল হয়েছে ... এবারের মত কি ক্ষমা করা যায় ?

>> হুমমম, চিন্তা করে দেখতে হবে
> মানে কি ?

>> দেখা যায় !
> আমার মন কি তোমাকে এই সব বুদ্ধি দিচ্ছে নাকি ?

>> দিলে ক্ষতি আছে ?
> উহু, তা নেই

> তবে ?
>> আমার মন কেমন আছে ?

>> ওটাকে আমি তোমার থেকেও বেশী যত্ন করে আগলে রেখেছি আর শোনো, ওটা আমার সম্পত্তি ... ওটাকে কেমন রাখবো সে আমার ব্যাপার, বুঝলে ?
> আচ্ছা, আচ্ছা ... ঠিকাছে

>> আর তোমার কাছে যেটা আছে সেটা কিভাবে রাখবে সেটা কিন্তু তোমার ব্যাপার, ওর ব্যাপারে আমি কিছু বলবো না ...
> ঠিকাছে, ওটাকে আমি নিজের চেয়েও বেশী ভালবাসি, তাই ওটাকে কেমন রাখব সে আমি জানি ...

>> কি বললে ?
> আমার মন কে আমি আমার চেয়েও বেশী ভালবাসি ...

>> মানে কি ?
> আমার কাছে যে মনটা আছে, সেটা কার ?

>> তোমার
> ঠিক তাই ... আমার সেই মন কে আমি আমার চেয়েও বেশী ভালবাসি

>> আমি কিন্তু আমার কাছে আমার যে মন আছে তাকে তোমার চেয়ে বেশী ভালবাসি
> তুমি পারবে না আমার চেয়ে বেশী ভালবাসতে ...

>> কিভাবে বলতে পারলে এটা ?
> কারন আমি জানি তুমি পারবে না

>> যদি বলি তুমি পারবে না ?
> তবে পরীক্ষা করে দেখা যাক ?

>> তাই সই, পরীক্ষা করেই দেখা যাক
> ঠিকাছে, আমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করে দেখ তোমার মনকে

>> আমার মন ....
> বলো মন ...

অতঃপর শুরু হলো কথোপকথনের দ্বিতীয় পর্ব , যেখানে দুটি মন ভালবাসার ভেলায় চড়ে অনর্গল কথা বলে চলে - চুপি চুপি, নিঃশব্দে ... হাতে হাত ধরে একসাথে অনন্ত পথ পাড়ি দেয়ার প্রত্যাশায় ....

ওরা দুজন নাকি ব্যাচেলর কাপল !!!

ওরা দুজন নাকি ব্যাচেলর কাপল !!!

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩১





দরজায় চাবি ঘুরিয়ে সুমন ঘরের ভিতরে ঢুকতেই সামনের ছড়িয়ে থাকা জুতার সাগরে হোচট খেতে খেতে নিজেকে কোনক্রমে চিৎপটাং হওয়া থেকে রক্ষা করতে করতে দাড়িয়ে পড়ল ... নাহ, সীমা একটুও ঠিক হলো না এখনো ... তার অগোছালো স্বভাবটা আর বুঝি পরিবর্তন হবেই না ... বলতে বলতে সুমন পায়ের জুতো দুটো পূর্ব পশ্চিমে ঠেলে দিয়ে মোজা দুটোকে সুন্দর মত দরজার কোনায় থ্রোইং করতে পেরে নিজেকে অসামান্য দক্ষ ফিল্ডার মনে করতে লাগলো ... দরজা বরাবর দাড়িয়ে হাতের ব্যাগটাকে বেড রুমের ভিতরে উড়িয়ে দিয়ে ঢুকাতে পেরে তিন পাকের ডিসকো ড্যান্স দিয়ে চলে এলো ড্রইংরুমে ... কাপড় না ছেড়েই সোফায় গড়াগড়ি দিয়ে টিভি দেখার মজাই আলাদা ... নিজেকে সোফা পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়ে ধপাস করার আগে একটু ভ্রু কুচকে দেখলো সেখানে ছড়িয়ে আছে সীমার কাপড়, আর কিছু এটা সেটা কাগজ ... মনে মনে আবার সে বলেই উঠলো -- নাহ ! এ আগে যেমন ছিল তেমনই থেকে গেল ... একটুও বদলালো না !! ... এর পরে সুমন ধপাস করে ওসবের উপরেই শুয়ে পড়ে টিভি চালিয়ে দিয়ে মিনিটে ৫০ টা চ্যানেল একট সাথে দেখতে শুরু করলো ...

ঘরের ভিতরে ধপাস করে ভারি একটা কিছু একটা পড়ার শব্দে সীমার ঘুম ভেঙ্গে যেতেই তড়াক করে উঠে বসে পড়লো ... ঘুম ঘোর চোখে চারিদিকে তাকিয়ে দেখে সবই তো ঠিক আছে, চোখ ডলতে ডলতে গায়ের উপর থেকে কাথাকে একটানে সরিয়ে পা দিয়ে বেডের একপাশে ঠেলে দিতে দিতে একটানে বালিশটাকে ঘুরিয়ে এনে ফেললো নিজের কোলের উপরে ... বেড থেকে ফ্লোরে নামাতেই কিছু একটার উপরে পায়ের চাপ পড়তেই কড়মড় শব্দে চমকে উঠে নিচে তাকিয়ে দেখে সুমনের ব্যাগ ... তখনই বুঝতে পারল পুরানোর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে আবার ... স্মৃতির পাতায় হাতড়েও ঠিক মনে করতে পারল না এটা সুমনের কত নম্বর চশমা ভাঙ্গলো ... বার বার ই তার ৮ এবং ৯ সংখ্যা দুটির মধ্যে গরমিল লেগে যাচ্ছিলো :| ... বেজার মনে সুমনের ব্যাগটাকে ওর পড়ার টেবিলের দিকে ঠেলে সরিয়ে হাতে ধরা বালিশটাকে বেডের আরেক কোনায় স্হানান্তর করে চললো ফ্রেস হতে ... ফ্রেস হওয়ার পরে টাওয়েল খোজাটাও যেন ওর জন্য খালি চোখে ব্যাকটেরিয়ার যুদ্ধ দেখার চেয়ে কঠিন কাজ ... ঘরময় জুড়ে থাকা কাপড় সমুদ্রে মিনিট পাঁচ এর মতো সাতার কেটে অবশেষে টাওয়েল পেয়ে মুখ মুছতে গিয়ে দেখে ততক্ষনে টাওয়েলের কাজটা ঘর ভর্তি উষ্ম বাতাস সম্পন্ন করে ফেলেছে ... ধুর ছাই, এখন এটাকে দিয়ে কি করবো বলতে বলতে টাওয়েলটাকে আবার কাপড় সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে সীমা এগিয়ে চললো ড্রইংরুমের দিকে ...

ড্রইংরুমে দুজন সামনা সামনি হতেই কিছু একটা ঘটে যাওয়ার আগেই কলিংবেলের শব্দে দুজনই চমকে উঠলো ... আরে, এমন অসময়ে কেউ তো আসে না এখানে, আজকে কে আসলো ... চোখে চোখে কথা হয়ে গেল দুজনের, নিঃশব্দে নিজের নিজের কাজ বুঝে নিয়ে সুমন চললো দরজা খুলতে আর সীমা দু হাত ভরে এলোমেলো কাপড়গুলো নিয়ে চললো বেড রুমের দিকে ... দরজা খুলতেই সুমনের বিষ্ফোরিত চোখ যেন বিশ্বাস করতে পারছিলো তার মিলিটারী শাশুড়ি এসেছেন ... তাও আবার বিনা নোটিসে ... এদিকে কুরুক্ষেত্র উত্তর সম ঘরের অবস্হা বড়ই করুন ... আজকে ওদের দুজনের নিস্তার নাই ... শুকনো গলায় বলে উঠলো -- আসেন মা, ঘরে আসেন ... সীমা এদিকে এসো দেখ কে এসেছে ....

ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে এসেই ভুত দেখার মত চমকে উঠলো সীমা ... আরে, মা তুমি ... কেমন আছ বলতে বলতে তার থেকে কোন রকমে জুতার সমুদ্রকে আড়াল করে ড্রইংরুমে নিয়ে যেতেই তিনি বলে উঠলেন -- নাহ! আমি আগে ফ্রেস হবো এর পরে বসবো ... তুই আমার ব্যাগটা নিয়ে আয় তো বেড রুমে ... কোনভাবেই তাকে থামাতে না পেরে মায়ের ব্যাগ হাতে নিয়ে পিছে পিছে বেড রুমে ঢুকতেই হঠাৎ দরজায় তিনি এমন হার্ড ব্রেক করলেন যে আরেকটু হলেই তার সাথে সীমার ধাক্কা লেগে যেত ...
দুজনের এন থমকে যাওয়াটা দুর্যোগের ঘনঘটা জেনেও দুরুদুরু বুকে পিছনে এসে চুপচাপ দাড়িয়ে পড়লো সুমন ...

চোখ ঘুরিয়ে ঘরের কাপড় সমুদ্রের উপর এক নজর চোখ বুলিয়ে তিনি বললেন -- এটা কি কোন থাকার ঘর নাকি জঙ্গল ? ... এখানে তো মশারাও আসলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা পড়বে ... তোরা এতদিন হয়েছে আমাদের থেকে আলাদা থাকিস এসব কবে শিখবি ? ... সীমা তোর আলমারিটা খোল তো, ওখানে সব কাপড় গুছিয়ে দেই ... সীমাকে তার জায়গা থেকে নড়তে না দেখে তিনি নিজেই গিয়ে আলামরী খুলে ভিতরে দেখতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল .... বললেন -- এর চেয়ে তো, তোর ঘরের অবস্হাই ভাল রে ... এইটা কি আলমারী নাকি ওয়াশিং মেশিন ? সুমন সীমা একসাথে কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে যেতেই ওদের মা বলে উঠলেন -- তোদের যে অবস্হা দেখছি তাতে করে কে বলবে যে তোদের বিয়ে হইসে ? তোদেরকে তো আসলে বলা উচিত ব্যাচেলর কাপল !!!!

অনন্ত যাত্রার অপেক্ষায় !!!

অনন্ত যাত্রার অপেক্ষায় !!!

১৬ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১১





ক' দিন থেকে মনটা খুবই খারাপ হয়ে আছে ... কোন কিছুই সহ্য হইতেছে না ... কি করলে যে মনটা ভাল হবে তাও বুঝতেছি না ... যা ই করিনা কেন, মনটা আরো বেশী বিলা হয়ে যাচ্ছে ... জানের দোস্তটারে ভালমতই বকাবকি করে যাচ্ছি, হাসিমুখে সে আবার আমার সব পাগলামী সহ্য করে যাচ্ছে ... কখন কি করছি বুঝতে পারছি না ... কিছুক্ষন আগে লেবু চা বানিয়েছিলাম ... সেটা যে বানিয়েছিলাম তা নিশ্চিত ...



কিন্তু একটু আগে মগের দিকে হাত বাড়াতেই দেখি শুকনো মগ পড়ে আছে ... কখন যে সেটা শেষ করে ফেলেছি নিজেই জানি না ... অনেকক্ষন চিন্তা করেও খুজে পেলাম না ... কখন চা টা শেষ করেছি ....



সকাল বেলা একটু বাইরে গিয়েছিলাম ... গাড়ি পার্কিং করার পরে হঠাৎ চোখ পড়লো একটা খরগোসের উপরে ... গোলাপফুল গাছের নীচে খরগোস ... দেখতে সুন্দর লাগলেও ... মনটা যেমন তেমনই থেকে গেল ....



কাছে গিয়ে দেখি যে ফুলের দিকে তাকিয়ে মন ভাল করতে চাই সে নিজেই বিবর্ন হয়ে পড়েছে ......



হলুদ গোলাপটার কাছে গিয়ে মনটা একটু ভাল লাগলো ওর সতেজতা দেখে ....



তবে মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল পাশে ফুটে থাকা গোলাপগুলোর দিকে তাকিয়ে ...



গোলাপের গাছটির দুরাবস্হা দেখে ওকে কেন জানি খুব আপন মনে হলো ... যে ফুল মানুষের জীবনে আনন্দের বারতা নিয়ে আসে, সে আজ বিমর্ষ হয়ে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে ... এক সময় যার মুগ্ধতায় পৃথিবীর সকলেই বন্দনারত থাকতো ... আজকে সে মৃতপ্রায় ,অবহেলিত, অনাকাঙ্খিত .... অনন্ত যাত্রার অপেক্ষায় কেটে যাচ্ছে তার প্রতিটি মুহুর্ত !!!

চাঙ্কুর চান্তেকদের কাঁঠাল ছিনতাই

চাঙ্কুর চান্তেকদের কাঁঠাল ছিনতাই

১৪ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৩৬






কাহিনী ছোট কিন্তু ঘটনা বিশাল ... বিদেশের মাটিতে দেশীয় ফলের বড়ই আকাল, বিশেষ করে আমাদের মতো পোড়া কপালীদের জন্য তো শুধু দেশীয় ফল কেন, যে কোন দেশীয় খাবার ই এক রকম দুঃষ্প্রাপ্য ... তবুও মাঝে মধ্যে যা পাই তাই নিয়েই খুশী থাকার চেষ্টা করি, এইটা আবার কারো কারো সহ্য হয় না ... তেমনি হইলো - চাঙ্কুর দুই অতি বদ চান্তেক !!X(

রাতের বেলা এক আপু ফোন করে জানালো এশিয়ান শপে নাকি বেশ বড় কয়েকটা দেশী কাঠাল এসেছে, কিনব কি না ... জিজ্ঞেস করলাম -- কেমন সাইজ ...
উনি বল্লেন -- বেশ বড়, তবে দামটা মনে হয় বেশী নিচ্ছে ...
আমি আসলাইলাম -- কত ?
উনি কইলো -- এক, একটা ৭৫ ইউরো করে !!
আমি কইলাম -- আমার পুষাইবো না ... বাদ দেন
(মনে মনে বললাম, আমার প্রিয় ফলটা বুঝি আর খাওয়া হলো না :()
উনি কইলো -- এক কাজ করি, আমরা অর্ধেক ভাগ নেই, আর তুমি অর্ধেক, ঠিকাছে ?
আমি মনে মনে একটু আস্বস্হ হয়ে কইলাম -- ঠিকাছে !!!

এর পরে দিনের বেলা আমি আর আমার কাজিন এক লগে গেলাম উনার বাসায়, গিয়া কাঠালের সাইজ দেইখা মোটামুটি তব্দা খায়া গেলাম :|:-* ...
যাই হোক, কাঠাল ভাঙ্গা হলো ... একসাথে সবাই অল্প স্বল্প খেলাম এর পরে বাকিটা একটা বক্সে নিয়ে বের হইলাম বাস স্ট্যান্ডে ... কাজিনের হাতে কাঠালের বক্স দিয়ে বললাম তুমি গিয়ে সিটে বসো আমি টিকিট নিয়ে আসতেছি ...আমরা বাসের মাঝামাঝি জায়গাতে বসেছি এমন সময় দেখি পিছনে পিছনে দুই চান্তেক আইসা পাশাপাশী সিটে বইসা পড়ল ... অতঃপর বাস চলতে শুরু করলো .....

আমি জানালারে পাশে বইসা বাইরের মনোরম দৃশ্য দেখি আর আমার পাশে কাজিন কানে আইপড লাগায়া হাতের রাখা কাঠালের ব্যাগে দোলা দেয় ... একটু পরে ঐ পাশের এক চান্তেকে কাজিন রে আসকাইলো -- কৈত্থেকে জানি আজিব গন্ধ আসে , তুমি পাও ?
কাজিনে কয় -- আমগো ব্যাগ থেকেই আসতেছে
চান্তেকে আসকায় -- জিনিসটা কি ?
কাজিনে কইলো -- আমগো দেশের জাতীয় ফল ... কাঠাল




সাথে সাথে সে তার নিজের ফোন ব্রাউজ করে বাইর করসে কাঠাল কি জিনিস.... এর পরে আসকাইলো এত্ত বড় জিনিস তুমি এমুন ছোট ব্যাগে ভরছ ক্যামনে ? কাজিনে কইলো -- ওর ভিতর থেকে খাওয়ার অংশটা বের করে ঢুকিয়েছি ...
ততক্ষনে মোটামুটি আশেপাশের সবার নাকে কাঠালের গন্ধ পৌঁছে গেছে ... আশেপাশে থেকেও গুনগুনানির আওয়াজ পাইলাম ... এইটা কেমুন জিনিস যার গন্ধ এমনে বাইর হয় ... আমি এই সব শুনি আর বলি .... চাচা ঢাকা কতদুর, থুক্কু আমার বাড়ি কদ্দুর ... আর নিজেরে মনে মনে চাপকাইতেছি গাড়ি না নিয়ে বাসে যাওয়ার জন্য :(

কিছুক্ষন ধইরা কাঠাল সম্পর্কিত জেরা সহ্য কইরা পরে কাজিনে কয়, এত প্রশ্নের উত্তর দিবার পারুম না ভিতরে কি জিনিস নিজের চোখে দেইখা লও ... বইলা যেই না বক্ষ খুলছে , অমনি পাকা কাঠালের চেহারা দেখার জন্য হুড়মুড় করে লোকজন হাজির হয়ে গেছে ... এইবার চান্তেক দুজন বলে -- আমরা কি এক্টু টেষ্ট করে দেখটে পারি ?
এতক্ষনে কাজিন বুঝলো ভুলটা কোনখানে করে ফেলেছে ... আমার দিকে তাকায়া কয় -- ভাইয়া এইবার ?
আমি আর কি কমু -- কইলাম , কলা যখন বান্দরের সামনে আগায়া ধরেছ তখন ফিরায়ে নিবা ক্যামতে ... দেও খেতে !

আর কৈ যাবা ... দন্ত বিকশিত করিয়া ঐ দুই চান্তেকসহ আশে পাশের মানুষগুলোর গপাগপ কাঠাল খাওয়া দেখে আমি মনে মনে বলি --- এর চেয়ে ওরা যদি আমার কইলজ্যা চিবায়া খাইত তবে মনে হয় বুকে কম ব্যাথা পাইতাম :(
... এদ্দুর কাঠাল তো একলা আমারই পোষায় না, তার আবার অর্ধেক ভাগ করতে হবে ?

বন্ধু খায় বৌ এর ঝাড়ি আর আমি খাই টাটকা চেরী

বন্ধু খায় বৌ এর ঝাড়ি

আর আমি খাই টাটকা চেরী

১২ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০২





ব্লগে আজকাল কারো কারো বিয়ের খায়েশ জেগেছে, কেউ কেউ আবার সেই খায়েশের সাথে তাল মিলিয়ে আয়েশ করে কত কিছু খেতে চাইছেন ... আমিও অবশ্য খানাপিনার উদ্দেশ্যে এ ব্লগ সে ব্লগ চষে বেড়াচ্ছি, যদি কোথাও একটা বিয়ের দাওয়াত পাওয়া যায় ... কিন্তু হায় ! ... কেউ এখনো পর্যন্ত দিলো না :( ... বিয়ের কোন দাওয়াত তো পেলাম না এখনো তাই আমার চেরী খাওয়ার গল্পই না হয় আপনাদেরে বলি আজকে ....

সেদিন দুপুরে এক বন্ধুর ফোন এল ... বেচারা ক বছর আগে বিয়ে করেছে ... কেমন আছে তা না হয় নাই বললাম ... ওর সাথে নরমালি কথা হয় বিকেলে অথবা রাতে ... দুপুরে ওর কল পেয়েই মনে কেমন জানি খচখচ করে উঠলো ... তবুও কলটা রিসিভ করলাম, বললাম ---

>> হ্যালো
> হ্যালো

>> কি খবর ... এই অবেলায় ফোন করলি যে ?
> তুই কি ফ্রি আছিস বিকেলে ?

>> উমমম... আছি , কিন্তু ক্যান ?
> তোকে নিয়ে একটু "ডি" তে যাব

>> ঘটনা কি রে, হঠাৎ "ডি" তে ?
> একটা পারফিউম কিনতে চাই, এ জন্য ...

>> আচ্ছা ঠিকাছে ... চলে আসব ঠিক ৫:৩০ এ ... তুই থাকিস কিন্তু সময়মতো, নাইলে ৬টায় বন্ধ হয়ে গেলে পরে কান্না করলেও কিনতে পারবি না ...
> আমি আজকে দরকার পড়লে ৫টায় হাজির থাকব ... তুই চলে আসিস, কথা হবে , বাই !

বিকেলে হাতের কাজ সব শেষ করে ফেলছি এমন সময় আবার ফোন এলো ....

>> হ্যালো
> ৫ টা বেজে গিয়েছে , আমি "ডি" এর সামনে দাড়ানো তুই কৈ ?

>> আমি তো সাড়ে পাচটায় আসবো বলেছিলাম, এখনো ৩০ মিনিট বাকি আছে
> আমি জানি না , তুই জলদি আয় !!

কড়াৎ করে ফোনটা কেটে দিতেই বুঝলাম ঘটনা কিছু একটা আছে ... নাইলে সে এমন নার্ভাস হবে কেন ? :| .... জলদি জলদি কাজ শেষ করে ডি তে যেতেই দেখি দোকানের ভিতরের ফিমেল সাইডে প্রতিটা পারফিউম খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে আমার বন্ধু ... বললাম --

>> কিরে, তুই এই পাশে ক্যান ? তোর পারফিউম তো ঐ পাশে থাকবে ... নাকি আজকাল মেয়েদের পারফিউম ব্যাবহার শুরু করে দিয়েছিস ? ;)
> ধুর ! বেশী বাজে বকিস না, এসেছি তোর ভাবীর জন্য পারফিউম কিনতে ...

>> হঠাৎ ?
> আজকে আমাদের ম্যারেজ ডে .... ইয়ার !!!

>> আচ্ছা ! এই কথা, আমারে দাওয়াত পর্যন্ত করলি না, এখন আমি তোর ম্যারেজ ডের গিফট পছন্দ করে দিবো ভেবেছিস ? .... দৌড়ের উপর থাক তুই, আমি চললাম
> দোস্ত, এমন করিস না, এমনিতেই বড় ক্যাচালের মধ্যে আছি, তুই কিছু একটা কর

>> ক্যাচাল ? কিসের ক্যাচাল ?
> তোর ভাবী কয়দিন আগে এখান থেকেই একটা পারফিউম কিনে নিয়ে গিয়েছিল, আমি খালি বলেছিলাম যে এটা একটু কড়া মনে হচ্ছে ... ওমনি যেমন কয়টা কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছিল আর কি বলবো .... শেষমেষ বলে দিয়েছে ওর জন্য আমি যেন ম্যারেজ ডে গিফট হিসেবে পারফিউম কিনে দেই ... সুতরাং বুঝতেই পারছিস, ঘটনা কোন খানে গিট্টু লাগছে :|

>> কিন্তু মেয়েদের পারফিউম তো আমি কখনো কিনি নাই, কি করি এখন ? ... দাড়া একজনরে ফুনাই, তারে আসকাই কয়টা ভালো পারফিউমের নাম ....
> নাহ ! তুই ঐ সেলস গার্লরে আসকা ... সে ভাল বলতে পারবে ...

এবার দুজনের গিয়ে সেলস গার্ল কে আসকাইলাম, সে কয়েকটা বাইর করে দিয়ে গন্ধ শুকাইলো ... এর পরে সেগুলোর মধ্যে একটা নিয়ে সুন্দর করে প্যাক করে, দুজনে হাজির হইলাম ওর বাসায় ... দরজা খুলতেই বন্ধুর সাথে আমারে দেইখা ভাবী একটা মিষ্টি হাসি দিয়া কইলো

>>> আরে অনন্ত ভাই যে, অনেক দিন পরে আসলেন ... আমাদের বাসায় কি ভুল করে আসলেন নাকি আজকে ? ... আসেন ভিতরে
>> নাহ ভাবী, আজকে আর দাওয়াতের অপেক্ষা না করেই চলে আসলাম (মনে মনে বলি -- আমাকে তো ধরে এনেছে তোমার বর, যাতে করে ..... থাক ! মনে মনে ওটা বললে যদি বুঝে যায়, এর চেয়ে অফ যাই !!)

>>> খুব ভাল করেছেন, আজকে আমি আমাদের বাগানের চেরী পেড়েছি , আসে এক্ষুনি বসে যান আমার বাগানের টাটকা চেরী খেতে ...

বলেই দেখি ভাবী টেবিলে বেশ কিছু টাটকা পেড়ে আনা চেরী রাখলেন, এমন সময় বন্ধু আমার বললো --

> হ্যাপ্পি ম্যারিজ ডে *** (এইটা কওন যাইব না) -- বলে সুন্দর করে প্যাকেট করা পারফিউম টা দিলো
>>> থ্যাংকু *** (এইটাও কওন যাইব না)

এর পরে তিনজনে বসে পড়লাম ওদের বাগানের চেরী খাওয়ার জন্য, এমন সময় ভাবী পারফিউমটা খুলে আমার বন্ধুরে আসকাইলো --

>>> পারফিউমটা আসলেই অনেক সুন্দর, কে পছন্দ করেছে, তুমি নাকি অনন্ত ভাই ?
অবস্হাটা ট্যাকল করার জন্য আমি বলে উঠলাম --
>> নাহ নাহ ভাবী, আমি তো শুধু সাথে ছিলাম, পছন্দ করেছে ও !

>>> কোথা থেকে কিনস ?
> "ডি" থেকে

>>> ঐখানে তো সব সেলস গার্ল কাজ করে ....
> হু, ওদের সাহায্য নিয়েই তো কিনলাম ...

>>> কি ? ওদের সাহায্য কিনস মানে ?
> না , মানে ওদেরকে জিজ্ঞেস করার পরে ওরা কয়েকটা বের করে দিয়েছিল, সেখান থেকে নিজে পছন্দ করে এনেছি ....

>>> তুমি নিজে কেন বের করে নাওনি ওদের কে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না , তাই না ? ... গায়ে পড়ে গিয়ে কথা বলতেই হবে ওদের সাথে?
> সে রকম কিছু না, মানে .... আসলে .... হয়েছে কি শুনো বলি ব্যাপারটা খুলে

>>> দরকার নেই খুলে বলার, আমি সব বুঝি ... তুমি একটা .... উফফ !! ধুর তোমাকে চোখের সামনে আমি সহ্য করতে পারছি না ... স্যরি অনন্ত ভাই আমি উঠছি ... বলেই সে চলে গেল বেড রুমে ... পিছে পিছে আমার বন্ধু ... আর এদিকে টেবিলে আমি একলা :|

ভিতর থেকে আওয়াজ আসে ...

> একটু শুনো তো পুরোটা ...
>>> চুপ ! একটা কথা বলবা না আমার সাথে
> আহা ! শুনই না, না শুনলে বুঝবা কিভাবে ওখানে কি হয়েছে ?
>>> তোমার সাথে কথা বলার রুচি নাই আমার ...
> আচ্ছা আমি বলি লিখে দিব নাকি কি হয়েছে ওখানে ?
>>> বের হয়ে যাও আমার সামনে থেকে ....
> ************* (এগুলো ;) ;))

এমনই চলতে থাকলো ভিতরের দৃশ্যে, আর বাইরের দৃশ্যে আমি একে একে খেয়ে চলেছি ওদের বাগানের টাটকা চেরী, আর মনে মনে বলি -- আহা ! কি শান্তিতে আছি আমি B-)

অন্ধকারের দ্বন্দ, দ্বন্দের অন্ধকার

অন্ধকারের দ্বন্দ, দ্বন্দের অন্ধকার

০৯ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪২






হাতের তালুতে লুকানো সিগারেটের জ্বলন্ত আগুনের উত্তাপটা সরাসরি হাতে লাগছে, তবুও ওটাকে বাইরে বের করা সম্ভব না এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে দুর থেকে কেউ দেখে ফেলার ভয়ে ... অনেকক্ষন ধরে এক জায়গাতে বসে থাকায় অন্ধকারটা চোখে সহ্য হয়ে যাওয়াতে তা এখন আর আগের মত বিভীষিকাময় মনে না হলেও মনের অস্বস্হি এখনো ঠিক কাটছে না ... সেটাকে দুর করার জন্যই পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বের করতেই বাপ্পী বলে উঠলো, না জ্বালালে হয় না ? দুর থেকে ওরা দেখে ফেলতে পারে তো ... আগুনের চিন্হ সে পর্যন্ত দেখতে পাবে না কথা দেয়ার পরেই সে সিগারেট টা জ্বালাতে দিয়েছিল... দু সেকেন্ডের মধ্যে সেটা জ্বালিয়ে মুহুর্তের মাঝে হাতের তালুর ভিতরে নিয়ে গাছের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে টানটে টানতে মনের মাঝে একটিই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিলো -- কাজটা কি ঠিক হচ্ছে , পরে কি হতে পারে ... কেন এমন কাজ করতে যাচ্ছে আজকে ওরা ... কাজটা করার পরে তার নৃশংসতা কি ও কখনো ভুলতে পারবে ? ... ধুর ! এসব চিন্তা কেন তার মাথায় আজকে আসছে ... আগে এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী সে ... কৈ সে সব সময়ে তো কখনো তার মনে কোন ধরনের ভয়, আশংকা অথবা দ্বিধা কাজ করেনি ... মনের মাঝে উকি দেয়নি কোনরূপ প্রশ্নবোধক চিন্হ ! ... তবে আজকে কেন এমন হচ্ছে ... সেটা কি তাহলে ঐ মানুষটার জন্য ? ... হয়ত তাই ... অথবা না ... অথবা এর মাঝে আছে অন্য কিছু .... নাহ ! আর ভাবতে চায় না সে ... এ সব তাকে ক্রমাগত মনে মনে দুর্বল করে ফেলছে ... দুর্বল মানুষের জন্য এ পৃথিবী না , অনেক দেখেছে, অনেক শিখেছে এই ঘুনে ধরা সমাজের কাছ থেকে ... এখন সে তাই করবে যা তার কাছে ঠিক মনে হয়েছে, অন্তঃত এই মূহুর্তে ঠিক মনে হচ্ছে ... কারো কথা মনে করে এই সময়টাতে নিজের বুকে জ্বলতে থাকা আগুনের লেলিহান শিখাকে কোনরকমেই সে নিভাতে চায় না ... কখনোই না !!!

চার পাচ জনকে একটা বড় কিছু উঁচু করে আনতে দেখেই চোখের নিমিষে চোখ থেকে ঠিকরে বেরুতে থাকলো রক্তের নেশা ... মূহুর্তের মধ্যে বাষ্পের মতো উধাও হয়ে গেল এতক্ষনের তিলে তিলে জমে ওঠা শত দ্বিধার বরফ দেয়াল ... রক্ত মাংস থেকে যান্ত্রিক মানুষে পরিণত হতেই অতি অভ্যস্ত হাতে ওরা সবাই মেতে উঠলো নরপিশাচীয় তান্ডবলীলার উল্লাসে !!!

ভায়োলিনের মূর্ছনায় হারিয়ে যাই কিছুক্ষন

ভায়োলিনের মূর্ছনায়

হারিয়ে যাই কিছুক্ষন

১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০২





আপনি কি যন্ত্র সংগীত পছন্দ করেন ? যেমন পিয়ানো, ভায়োলিন অথবা গিটার ? ...

আপনি কি গভীর রাতে কোমল শীতল সুর মুর্ছনায় হারিয়ে যেতে পছন্দ করেন ?

আপনি কি অন্ধকারের মাঝে আলোক সন্ধানী সুরে ভেসে বেড়াতে চান কিছুক্ষনের জন্য ?

তাহলে শুনে দেখুন আমার প্রিয় কিছু ভায়োলিনের টিউন ...

সবাই কে ভায়োলিনের সুরের জগতে স্বাগতম .....


স্যাড ভায়োলিন

ডাউনলোড লিংক




স্যাড রোমান্স

ডাউনলোড লিংক





রোমিয় জুলিয়েট

ডাউনলোড লিংক

হঠাৎ বৃষ্টি না, হঠাৎ মাথায় জগ ভর্তি পানি

হঠাৎ বৃষ্টি না,

হঠাৎ মাথায় জগ ভর্তি পানি

০৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৫০


কাজের ফাকে ম্যাসেন্জারে টুকটাক কথা বলাটা একরকম অভ্যাস হয়েই দাড়িয়েছে ... এমন অবস্হা যেন কথা না বললে কাজে মনই বসে না .... দৈনন্দিন নিয়মেই আজকে কাজ করছি আর অনেকক্ষন পর পর টুকটাক কথা বলছি আমার বেষ্ট দোস্তের সাথে .... হঠাৎ ম্যাসেন্জারে তার ঝাকুনি শুরু হলো

>> বাজজজ !!! বাজজজ !!!!
> কিরে কি হইসে, ধাক্কাস ক্যান ? :|

>> কি করিস ? :P
> তোর মুন্ডু চিবাই, দেখিস না ? X((

>> ঐটা ছাড়া আর পারিস কি তুই ? ;)
> ঘটনা কি রে, এখন আমার কাজের মধ্যে গ্যান্জাম করবি নাকি ? :|

>> একটু করি ই না, কি বলিস ? B-)
> অফ যা ! X(

>> তুই একটা আলম্বুশ !!! X(
> কি ? :-*

>> যা বলার একবার বলেছি, বুঝলে বুঝ না বুঝলে নাই X(
> হুমম .... আচ্ছা বল, ঘটনা কি ? :|

>> ঘটনা না দুর্ঘটনা ... :((
> মানে ? :-*

>> তোরে ধাক্কা দিয়ে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দিলে কেমন হতো তাই ভাবছি B-)
> এইটা আবার কেমন কথা, বলা নেই কওয়া নেই আমারে পানিতে ফেলে দিবি মানে ? :|

>> আসলে তোরে পানি দিয়ে ভিজায়ে দিতে ইচ্ছা করছে
> দেখ হাঙ্কি পাঙ্কি বাদ দিয়ে বল আসল ঘটনা কি, কিছু একটা না হলে তোর মাথা এমন গরম হয় না সাধারনত .... :|

>> তোর মনে আছে সেই ঈদের দিনের কথা যেদিন আমি তোর মাথায় পানি ঢালছিলাম ? B-)
> হু মনে আছে, অনেক গরম ছিল, তোর বাসায় বেড়াতে গিয়ে মাত্র ২ গ্লাসপ পানি চাইছিলাম, আর তুই এক জগ পানি এনে বলেছিলি নে খা ... :|

>> এর পরে ?
> এর পরে আর কি,সাথে গ্লাস আনিসনি বলে তোকে দ্বিতীয়বার গ্লাস আনতে কিচেনে যেতে বলেছিলাম .... :|

>> এর পরে ?
> এর পরে তুই যেতে যেতে হঠাৎ ফিরে এসে পুরা জগের পানি আমার মাথায় ঢেলেছিলি , শালা বান্দরের নানী !! X((

>> খিক খিক খিক :P :P :P
> আবার হাসিস ক্যান, কি হইসে ? X((

>> একটা লিংক দেই দেখ :P
> টাইম নাই :(

>> দেখই না ....বেশীক্ষনের না :)
> আচ্ছা দে....

এর পরে সে আমাকে যে লিংক দিয়েছিল ( http://www.youtube.com/watch?v=NgT7ueACtxw ) তা আপনারাই দেখেন, যেটা দেখার পরে তার নাকি আমার মাথায় আবার পানি ঢালার শখ হইসে ---- :| :| :|