Wednesday, July 29, 2009

মেরেছ কলসির কানা, তবুও কি প্রেম দেবে না ?

মেরেছ কলসির কানা,

তবুও কি প্রেম দেবে না ?

২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৬





বহুদিন পরে আনিসের বাশঝাড়ে যেন কদম ফুল ফুটিলো, তাইতো বহু কষ্টের সময় পার করার পরে জরিনা তার সাথে আজ প্রথম ডেটে যাইতে সম্মতি প্রকাশ করেছে , সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সাজুগুজু করিয়া বৈকালে তাহার সাথে দেখা করতে গেলে পরে জরিনা কহিলো আনিস আমাকে চাইনিজ খাওয়াও ... বেচারা আনিস, গতকল্য মাত্র বাবার পাঠানো পুরো মাস খরচের চেকটি পাইয়াছিল আজকে জরিনার চাইনিজ খাওয়ানোর খরচ বাবদ নিজের পকেটের সর্বস্ব খরচ করিবার পরে, বাড়ি ফেরার পথে সে রিক্সা ভাড়া দেয়ার জন্য করুন চোখে জরিনার তাকাইতেই জরিনা বলিয়া উঠিলো -- এমুন হাভাইত্যার লগে প্রেম করিয়া মজা নেই ...... তখন আনিস বেচারার পাংশু মুখ থেকে একটাই কাতর মিনতি উচ্চারিত হইলো -- আজকের মতো আমাকে রক্ষা করো প্রভু ...


========================================

কালাম আজকে বড়ই খুশী, কারন আজকে সে এমন এক জিনিস কিনিয়াছে যাহা দেখিয়া সখিনা তাহাকে আজকে নিশ্চিতভাবে আনন্দে জড়াইয়া ধরিয়া মনের মাধুরী মিশাইয়া আদর করিবে ... পিছনের ঘটনা সংক্ষেপে এই রকম - একদিন নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সখিনার বড় আমসত্ব খাইতে মন চাহিয়াছিলো, কিন্তু মার্কেট বন্ধ হইয়া যাওয়ায় সেদিন আর তা কেনা সম্ভব হয়নি .... আমসত্ব না খাইতে পারিয়া সেদিন সখিনার মুখমন্ডলে যে আমাবশ্যার ছায়া সে দেখিয়াছিল আজকে অফিস থেকে ফেরার পথে তাই সে মনে করিয়া নিউমার্কেট থেকে আমসত্বের বড় একটি টুকরা কিনিয়া আনিলো। বাসায় ঢুকার পরে সখিনার হাতে সেটা দিতে দিতে কালাম বলিলো -- আমার জানের জান পরানের পরান তোমার জন্য দেখ আমসত্ব আনিয়াছি .... এই খবর শুনিয়া বড়ই পুলকিত হইয়া সখিনা আমসত্বের প্যাকেট খুলিতে না খুলিতেই চিচিং ফাকের মতো হঠাৎ তার মেজাজ তিরিক্ষি হইয়া উঠিলো ... মুহুর্তের মধ্যে হাতের আমসত্বের প্যাকেট টি দুরে ফেলিয়া দিয়া বলিলো -- না জানি কোন খান থেকে মরা মাছি সহ আমসত্ব আনিয়াছ, আমাকে এই জিনিস খাওয়াইয়া মারিয়া ফেলিতে চাও ? হায় খোদা আমাকে তোমার কাছে নিয়া চলো, এই মানুষের সাথে আর এক মুহুর্ত না ... আমি চললাম বাপের বাড়ি। মুহুর্তে কাপড় চোপড়ের ব্যাগ গুছাতে শুরু করতেই কালাম বলিলো -- আজকের মতো মাফ করিলে হয় না, কালকে তোমাকে একেবারে ফ্রেস আমসত্ব আনিয়া দিবো ... সখিনা অগ্নিচোখ হইতে ঠিকরানো আগুন কালাম পর্যন্ত পৌছাইতে পারিলে নিশ্চিতভাবে সে ততক্ষনে ভষ্ম হয়ে যেত .... উপায়ন্তর না দেখিয়া বিড়বিড় করিয়া কাতর স্বরে সে বলিতে লাগিলো -- আজকের মতো আমাকে রক্ষা করো প্রভু ...

===================================

বছর পাঁচেক ঘোরাঘুরির পরে আশিক যখন নিলীমার হাত ধরতে পারিয়াছিল তখন তাহার যেন মনে হইতেছিল আকাশে চাঁদ হাতে পাইয়াছে .... নিলীমার নরম তুলতুলে হাতে নিজের হাত রাখিতে না রাখিতেই সে কতশত স্বপ্নে বিভোর হইয়া পড়িলো ... নিলীমার হাতের অনু পরমানুর মধ্যে দিয়ে তার হৃদয়ের বন্ধ কুঠুরীতে কষাঘাত করার নিমিত্তে হালকা চাপ দিতেই তাহার শক্ত আঙ্গুলগুলো নীলিমার নরম হাতে বসে গিয়ে রক্ত জমাট বাধিয়া গেল ... পরক্ষনেই সে তাহার গন্ডদেশে টের পাইলো এতক্ষন যে নরম হাত সে ধরিয়া রাখিয়া ছিল তাহা সময় সময় বেশ শক্তও অনুভুত হইতে পারে .... তখন থেকেই আশিক মনে মনে প্রার্থনা করিতে লাগিলো -- আজকের মতো আমাকে রক্ষা করো প্রভু ...

No comments: